কম্পিউটার ভাইরাস কি? এর বৈশিষ্ট্য, ক্ষতিকর দিক,লক্ষন ও প্রতিকার গুলো কি কি?
কম্পিউটার ভাইরাস কি?
কম্পিউটার ভাইরাস এক ধরনের ক্ষতিকারক প্রোগ্রাম যা কম্পিউটারের রক্ষিত অন্যান্য প্রোগ্রাম কে নষ্ট করে ফেলে।
প্রখ্যাত গবেষক রেট কুহেন কম্পিউটারের ক্ষতিকারক প্রোগ্রামের নাম দেন ভাইরাস। কম্পিউটার ভাইরাস এক ধরনের ক্ষতিকারক program যা স্বয়ংক্রিয়ভাবে নির্বাহ ও সংক্রমণ ও নিজস্ব সংখ্যা বৃদ্ধি করে কম্পিউটারকে অস্বাভাবিক অগ্রহণযোগ্য করতে বাধ্য করে।
কখনো কখনো প্রোগ্রাম বা ডেটা ফাইল নষ্ট করে ফেলে, কম্পিউটারকে বুট হতে বিরত রাখে, ডিস্ক কে নষ্ট করে ফেলে।
কম্পিউটার ভাইরাসের প্রধান বৈশিষ্ট্য গুলো কি কি?
১.এটি নিজেই নিজের প্রতিরোধ তৈরি করতে সক্ষম।
২.এটি সর্বদা অন্য কোন ফাইল বা প্রোগ্রামের সাথে চলাফেরা করতে পারে।
কম্পিউটারে ভাইরাস কি কি ক্ষতি করতে পারে?
কম্পিউটারে ভাইরাস অতি ক্ষুদ্র থেকে শুরু করে বড় ধরনের ক্ষতি সাধন করতে পারে যা নিচে আলোচনা করা হলো -
১.সংরক্ষিত কোন ফাইল মুছে দিতে পারে।
২.কোন ডেটা বিকৃত করে দিতে পারে।
৩.কম্পিউটার কাজ করার সময় আচমকা অবাঞ্ছিত বার্তা প্রদর্শন করতে পারে।
৪.মেয়েটারে ডিসপ্লে কে বিকৃত করে দিতে পারে।
৫.কম্পিউটারের সিস্টেমের কাজকে ধীরগতি সম্পন্ন করে দিতে পারে।
কম্পিউটার ভাইরাস আক্রান্ত হওয়ার লক্ষণ সমূহ গুলো কি কি?
কম্পিউটার ভাইরাস আক্রান্ত হলে সাধারণত যে উপসর্গগুলো কম্পিউটারে দেখা যায় তা নিচে দেওয়া হলো-
১.কোন প্রোগ্রাম চালু হতে বেশি সময় নেয়।
২.হার্ডডিস্ক এর পার্টিশন নষ্ট করে ফেলে।
৩.ডিস্কের ভলিয়মের নাম পরিবর্তন হয়।
৪.কে ভ্যাট সেক্টর দেখায়।
৫.EXE এর আকার পরিবর্তন হয়।
৬.প্রিন্টের গতি হ্রাস পায়।
৭.হঠাৎ করে কম্পিউটার বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
৮.কাজের গতি কমে যায়।
৯.ফাইল তারিখ সময়ের পরিবর্তন হয়।
উপরের এই লক্ষণ গুলো দেখা দিলে মনে করা যায় যে কম্পিউটারটি ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হয়েছে।
কম্পিউটার ভাইরাস আক্রান্ত হওয়ার মাধ্যম ও প্রতিরোধের উপায় গুলো কি কি?
ভাইরাস নিজে নিজে স্বয়ংক্রিয় ভাবে এক কম্পিউটার থেকে অন্য কম্পিউটারে নিম্নলিখিত কারণে সংক্রামিত হতে পারে। যেমন -
১. ফ্লপি ডিস্ক, হার্ডডিক্স বা অন্য কোন ডিস্কের মাধ্যমে প্রোগ্রাম ডেটার আদান- প্রদান হলে।
২.পাইরেটেড সফটওয়্যার ব্যবহার করলে।
৩.নেটওয়ার্ক ইন্টারনেট বা ইমেল ইত্যাদি কম্পিউটার এর ক্ষেত্রে এক কম্পিউটার থেকে অন্য কম্পিউটারে সংযোগের কারণে।
কিছু সতর্কমূলক ব্যবস্থার গ্রহণ করলে ভাইরাসের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যেতে পারে :-
যেমন -
১.অধিকাংশ ক্ষেত্রে সংক্রমিত প্রোগ্রাম কপির মাধ্যমে ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে। তাই কপির পূর্বে এটি সংক্রমিত কিনা পরীক্ষা করা দরকার।
২.পাইরেটেড বা কপি software এর মাধ্যমে ভাইরাস ছড়ায়। তাই অরজিনাল প্রোগ্রাম ব্যবহার করলে ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
৩.ইন্টারনেটের ফাইল বা ইমেইল গ্রহণের ক্ষেত্রে সর্তকতা অবলম্বন করা।
৪.এন্টিভাইরাস প্রোগ্রাম ব্যবহার করা এবং সব সময় আপডেট ভার্সন ব্যবহার করা।
৫.সবাইকে ভাইরাস প্রতিরোধে উদ্বুদ্ধ করা।